আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন না: এমপি হারুন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন না। তারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

সোমবার সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০২০ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

হারুনুর রশিদ বলেন, এ সরকার প্রায় ১২ বছর ক্ষমতায়। আজ দেশের স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা কী? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কিটকে পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা অসুস্থ বা করোনায় আক্রান্ত হলে সিএমএইচ না হয় বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সরকারি হাসপাতালে যেতে চান না।
চিকিৎসা ব্যবস্থা ভারতমুখী হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে এমপি হারুন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভারতমুখী হয়ে গেছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে চার কোটির অধিক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন। আজকে এটি বাস্তব সত্য। এই সত্য কথাগুলো বলার জন্য সংসদে এসেছি। সরকারের উন্নয়ন ব্যয় সংকোচন করে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়ানো প্রস্তাব করেন তিনি।

তৃণমূলে করোনা পরীক্ষায় সময়ক্ষেপনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে যে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার ফলাফল দেয়া হচ্ছে আট থেকে ১০ দিন পর। সারা বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত। আল্লাহ একসঙ্গে সারা বিশ্বকে ঘিরে ফেলেছেন। এর কারণ হলো আজ যারা ক্ষমতা তারা ক্ষমতার লোভে সবকিছু ভুলে গেছে। অত্যাচার, নির্যাতন করছে। সারা পৃথিবীর চিকিৎসা ব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জাতীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতীয়ভাবে ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমপি। সেখানে সদর হাসপাতালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী সেই হাসপাতাল ২০১১ সালে ১০০ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। সেখানে অক্সিজেনের সিস্টেমও নেই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ